আমি এখন জনপ্রতিনিধি, তাই তার যোগ্য সিরিয়াস হেয়ার স্ট্যাইল।’ নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনে এমন ডায়ালগ বলে বিপাকে পড়েছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ চিত্রনায়িকা মিমি চক্রবর্তী।বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করায় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীদের তোপের মুখে পড়েছেন এই নায়িকা।
এমন কী’’ এই বিজ্ঞাপনের জের ধরে হু`মকির মুখে মিমির সাংসদ পদবি। গেরুয়া শিবিরের বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু থেকে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, একযোগে সবাই বিরোধীতা করেছেন মিমি চক্রবর্তীর।আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘এভাবে বিজ্ঞাপন করা একেবারেই অনুচিত কাজ।
মিমির উচিত এখনই এই ভুল শুধরে নেওয়া।আরেক সাংসদ অ’ভিনেত্রী লকেট বলেন, মিমি নিশ্চয়ই সাংসদদের বিধি নিষেধ ও আইন স’ম্পর্কে ভালভাবে অবগত নন। না জেনেই করেছেন। কিন্তু একজন সাংসদ হিসেবে মিমির আইনটা জেনে রাখা উচিত ছিল।
এদিকে লোকসভার স্পিকার কিংবা এথিক্স কমিটির কাছেও অ’ভিযোগ জমা পড়লে মিমি চক্রবর্তীকে জবাবদিহি করতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিজ্ঞাপন করে শেষ সাংসদ হারাতে বসেছেন কী’’ না এই ভেবে চিন্তিত মিমি চক্রবর্তীর ভক্তরাও।
সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘মিমির বয়স কম, অনভিজ্ঞ। ফলে মিমিকে নিয়ে বলা সাজে না। নিশ্চয়ই এই কাজের আগে দলের অনুমতি নিয়েছেন। দলের উচিত ওর ভুল শুধরে দেওয়া।আর মিমি জানিয়েছেন , এ বিষয়ে তেমন কিছু জানা ছিলো না তার। বিজ্ঞাপনটিতে আরও ছিলেন জনপ্রিয় অ’ভিনেত্রী বিদ্যা বালান।