পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে দুর্নীতি মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর তিন ঘণ্টা পর আদেশ দেয়া বিচারককে বদলি করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পিরোজপুর দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সাবেক এই সাংসদের জামিন মঞ্জুর করেন যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিন। তিনি বিচারপতি মো. আবদুল মান্নানের স্থালাভিষিক্ত হয়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান। এই আদেশের তিন ঘণ্টা পরই তাকে বদলি করে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল ৩টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নানকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। তবে এখনো লিখিত কাগজপত্র আসেনি। আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখতে হবে।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মুনসুর উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের জামিন বাতিলের আদেশ দেয়ার পরপরই জেলা জজ আদালতের বিচারক আবদুল মান্নানকে বদলি করে দেয় আইন মন্ত্রণালয়। তার জায়গায় দায়িত্ব পান যুগ্ম জেলা জজ। দায়িত্ব নেয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আউয়াল দম্পত্তিকে তিনি জামিন দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আউয়াল দম্পত্তির তিন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেয়া আট সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই এদিন জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা লীগ সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। এরমধ্যে একটিতে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে শুধু আউয়ালকে আসামি করা হয়।