ফাঁসকৃত প্রশ্নের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
চিহ্নিত হওয়া মাত্রই এ ধরনের শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল করার সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান। পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় এনে কঠোর পরিণতির মুখোমুখি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে ঢাকার সাভার ও মানিকগঞ্জে শত বিঘা জমি কিনেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর ছাপাখানার মেশিনম্যান আবদুস সালাম, যাকে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূলহোতা বলছে সিআইডি।
২০০৬ এ প্রথম জানাজানি হয় প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সালাম। পরে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করে ছাপাখানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাকে। একারণে পরের দুবছর প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। কিন্তু দুহাজার নয়ে ফের ছাপাখানার দায়িত্বে ফিরে এসে দু’হাজার পনেরো পর্যন্ত টানা সাত বছর প্রশ্ন ফাঁস করে বিপুল অবৈধ অর্থের মালিক হন সালাম।
গ্রেপ্তারের পর সালামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সব সদস্যের নাম জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।
অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা তার কাছ থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছি। যদি দেয় ভালো না হলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে জানবো কারা কারা এর সাথে জড়িত ছিল।
প্রশ্ন ফাঁস করে খালাতো ভাই জসিমের মাধ্যমে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করেছে সালাম। এরইমধ্যে জসিমের কাছ থেকে অন্তত আশি শিক্ষার্থীর ব্যাংক চেক জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান জানান, এখন ফাঁসকৃত প্রশ্নের সুবিধা নিয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজ করা হচ্ছে। শনাক্ত হওয়া মাত্রই তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করার সুপারিশ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে হতাহতের মামলার অগ্রগতি নিয়ে সিআইডি প্রধান জানান, ওই দুর্ঘটনার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, ভবন নির্মাণ সংস্থা ও মসজিদ কমিটির দায় পেয়েছেন তারা। এ মাসেই অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে।
সিআইডি প্রধান আরও জানান, মানবপাচারের দায়ে কুয়েতের কারাগারে থাকা সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দু’এক সপ্তাহের মধ্যেই মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
-ডিবিসি নিউজ